আজ || শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  ফেনী ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের মুটিং সোসাইটির উদ্যোগে মডেল ইয়ুথ পার্লামেন্ট অনুষ্ঠিত       ফেনীতে দলীয় কোন্দল, নেতা-কর্মীদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে জেলা বিএনপি       ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ারে সেনাবাহিনী যা যা করতে পারবে       ৬০ দিনের জন্য সারাদেশে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পেল সেনাবাহিনী       ফেনীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, দুই সংবাদকর্মী সহ আহত ১২       ১৪ দিনে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা       কুমিল্লা ও ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে আনসার মহাপরিচালকের আমন ধানের চারা বিতরণ       বাহরাইনে দেশীয় সংস্কৃতিতে বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রবাসীরা বাংলাদেশিরা!       রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন মুনছুর ভূইয়া       দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার    
 


১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও স্ত্রী-সন্তান জানেন না বাদলের মৃত্যুর খবর

অনলাইন ডেস্ক :

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাদল কর্মকার (৪০) করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন গত ২৯ জুন।

ওই দিন বরিশাল মহাশ্মশানে তার সৎকার করা হয়েছে। এর পর ১৪ দিন অতিবাহিত হলেও তার স্ত্রী সীমা কর্মকার (২৭) জানেন না তার মৃত্যুর খবর। তিনি অপেক্ষায় আছেন স্বামী সুস্থ হলেই বাড়ি চলে আসবেন।

একমাত্র সন্তান সূর্য (১১) অপেক্ষায় রয়েছে বাবা এলেই তার কাছে বায়নার কথা বলার জন্য। তাদের আশা যে আর পূরণ হওয়ার নয়, সেই খবর জানাতে আসবেন মৃত বাদলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। কীভাবে এ খবর জানাবেন আর তাদের সামলে নেবেন, এ জন্য প্রতিবেশীরাও রয়েছেন উৎকণ্ঠায়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাদলের শ্যালক উজ্জ্বল কর্মকার জানান, তার বোন সীমা কর্মকার ও ভাগ্নে সূর্য কর্মকারের করোনা পজিটিভ থাকার কারণে তাদের বাদলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। ১২ জুলাই সোমবার সকালে তাদের পুনরায় করোনা পরীক্ষার নমুনা দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে জানানো হবে বাদল কর্মকারের মৃত্যুর খবর।

এলাকাবাসী জানান, জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বাদল কর্মকারের পরিবারের সবাই করোনায় আক্রান্ত হয়। কিন্তু সামান্য সর্দি-কাশি ও জ্বরকে তারা গুরুত্ব দেয়নি। এর মধ্যে বেশ কিছু দিন পার হলে বাদলের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। অসুস্থ বেশি দেখে তারা সবাই গত ২৪ জুন শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা করান। তবে  নমুনা পরীক্ষায় বাদলের নেগেটিভ এবং তার স্ত্রী সন্তানের পজিটিভ রিপোর্ট আসে।

কিন্তু বাসায় বাদলের অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। খবর পেয়ে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন একদিন পর অ্যাম্বুলেন্সে করে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে করোনা পরীক্ষা দেওয়ার দুদিন পর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ততক্ষণে তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটতে থাকে। একপর্যায়ে ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তাকে ভর্তি করার একদিন পর বাদলের মৃত্যু হয়। ওই দিনই তাকে সৎকার করা হয়।

শরণখোলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরিদা ইয়াসমিন জানান, নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রায় ৬০ ভাগ সঠিক পাওয়া যায়। যার কারণে বাদল কর্মকারের রিপোর্ট হয়তো সঠিক হয়নি।


Top